শিগগিরই বহুল প্রতীক্ষিত সাইবার সুরক্ষা আইন পাস হতে যাচ্ছে,
যেখানে অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এসবের সাথে প্রত্যক্ষ ও
পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে টেলিযোগাযোগ ও
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নতুন আইনটি পাস হওয়ার পরপরই অনলাইন জুয়ার সঙ্গে সরাসরি ও
পরোক্ষভাবে জড়িত কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একইসঙ্গে, এ ধরনের বেটিং ওয়েবসাইটগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর অনলাইন
জুয়ার সঙ্গে কোনো যোগসাজশ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে বিকাশ, রকেটের মতো এমএফএসগুলোর বিরুদ্ধে অনলাইন জুয়া,
ক্রিপ্টো কারেন্সি ও ই-কমার্স এমএলএমের নামে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
নতুন সাইবার আইন কার্যকর হওয়ার পর এসব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।
প্রথম আলো
পুরোনো যান সরানোর উদ্যোগে এবারও সাড়া নেই মালিকদের
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক থেকে পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সরিয়ে নিতে ছয় মাস সময় বেঁধে
দিয়েছিল সরকার। নতুন যানবাহন কেনার জন্য মালিকদের ঋণ পেতে সহায়তার আশ্বাসও
দেওয়া হয়েছিল। সময়সীমা শেষ হবে মে মাসে। তবে মালিকদের কোনো গরজ দেখা যাচ্ছে
না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, ঢাকাসহ সারা
দেশে চলাচলকারী ৭৫ হাজারের বেশি বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও
ট্যাংকলরির আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরোনো এসব যানবাহন
দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে।
পুরোনো যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও নেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে বাধা হয়ে
দাঁড়িয়েছিলেন মালিকেরা। এবারও তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন না। ফলে অন্তর্বর্তী
সরকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান
গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, মে মাসের মধ্যে পুরোনো গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। নির্ধারিত সময়ের পর পুরোনো যান চললে তা জব্দ করে
ধ্বংস করা হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে একটা ডাম্পিং স্টেশন (পুরোনো যান
ফেলার স্থান) পাওয়া গেছে। ঢাকায় একটা স্টেশন তৈরির চেষ্টা চলছে।
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, পরিবহনমালিকেরা নিজে থেকে পুরোনো যান সরিয়ে নিলে নতুন যান কিনতে সরকার সহায়তা করবে। সহজ শর্তে ঋণ পেতে সব ধরনের সহায়তা
দেওয়া হবে। মালিকেরা নিজ উদ্যোগে না সরালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মে
মাসের পর এসব যান চলতে দেবে না।
ইত্তেফাক আলজাজিরাকে প্রধান উপদেষ্টা
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
দৈনিক ইত্তেফাকে বলা হয়েছে, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে আছেন।
সেখানে বসে বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা বলছেন। সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।সাক্ষাৎকারে আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার শেখ
হাসিনাকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন
করেন। তখন তার বিভিন্ন বক্তব্য ও বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ
হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু জবাবে মোদি বলেছিলেন তিনি এটি
পারবেন না। কারণ ভারতে সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি সবার
জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে
সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
যুগান্তর
শিল্পের গ্যাস যাচ্ছে বিদ্যুতে
কারখানায় উৎপাদনে ধস
তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে
শিল্প খাতের জন্য বরাদ্দকৃত গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনের
জন্য দেওয়া হচ্ছে। এতে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে শিল্প কল-কারখানায়।
গ্যাস না থাকায় কারখানাগুলোর উৎপাদনে ধস নেমেছে। গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল
মিলগুলোর উৎপাদন ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। অনেক কারখানা বন্ধ
হওয়ার পথে। দেশের একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানকে চিঠি
দিয়ে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের
পক্ষ থেকেও গ্যাস সংকটের বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া
হয়েছে। গ্যাসের অভাবে গত কয়েক দিনে প্রায় ৪০০ গ্যাসনির্ভর কারখানা,
পূর্ণক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পের গ্যাস
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরবরাহ দেশের অর্থনীতির জন্য ভয়ংকর দুসংবাদ।
গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের
জন্য গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশের
প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোতে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
বাংলাদেশ প্রতিদিন বলা হয়েছে, শেখ
হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরশাসনের অবসানের আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঘুরে
দাঁড়াতে পারেনি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। রাজনৈতিক-সামাজিক পরিস্থিতিতে
কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরলেও অব্যাহতভাবে সংকুচিত হয়ে আসছে অর্থনৈতিক
কর্মকাণ্ড। ব্যবসাবাণিজ্যের মন্দা পরিস্থিতি কাটছেই না। বাড়ছে বেকারত্ব।
নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মতভেদের কারণে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ভাটা পড়েছে।
যদিও বিনিয়োগ সামিট করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা
করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে বেশির ভাগ
বিনিয়োগকারীই রয়েছেন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। পাশাপাশি আস্থার সংকট প্রকট
আকার ধারণ করেছে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। নতুন কোনো শিল্পকারখানা তো
হচ্ছেই না; বরং গত ছয় মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে
গেছে। যার ফলে কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বড়
ধরনের ধাক্কার মধ্য দিয়ে পরিবর্তন এসেছে। বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ীসহ
অর্থবাণিজ্য সম্পর্কিত সব খাতের ওপর প্রভাব তো পড়েছেই। বিদেশি
বিনিয়োগকারীরাও পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন। সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক
পরিস্থিতি কী হতে পারে সেটা নিয়ে তারাও শঙ্কায় রয়েছেন। দেশের সামষ্টিক
অর্থনীতিও সংকুচিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছর শেষে জিডিপি
প্রবৃদ্ধি নেমে আসতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাংকের
পূর্বাভাস অনুযায়ী- ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৮
শতাংশে দাঁড়াবে, যা গত অক্টোবরে করা পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ
কম। এদিকে আবার দেশে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ অতি দারিদ্র্যের মধ্যে পড়বে বলে
ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, এ বছর বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার
২২ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা ২০২২ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
0 Comments